থাইল্যান্ডের পার্লামেন্ট দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভূমজাইথাই পার্টির নেতা অনুতিন চার্নভিরাকুলকে নির্বাচিত করেছে। শুক্রবার অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে তিনি পার্লামেন্ট সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পান।
৪৯২ সক্রিয় সদস্যের মধ্যে অনুতিন ৩১১ ভোট পেয়ে জয়ী হন, যা সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৪৭ ভোটের চেয়ে অনেক বেশি। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ক্ষমতাসীন ফেউ থাই পার্টির প্রার্থী চাইকাসেম নিতিসিরি।
অনুতিনের জয়ের পেছনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে উদারপন্থি পিপলস পার্টির সমর্থন। জানা গেছে, তিনি চার মাসের মধ্যে নতুন সাধারণ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যা ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন নিশ্চিত করতে সাহায্য করেছে।
এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা গত মাসে নৈতিক আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সাংবিধানিক আদালত কর্তৃক পদচ্যুত হন। একটি বিতর্কিত ফোনালাপকে কেন্দ্র করে আদালত মত দেয়, তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রয়োজনীয় নৈতিক মানদণ্ড পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
বর্তমানে রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছেন অনুতিন। অনুমোদন পেলেই নতুন মন্ত্রিসভা দায়িত্ব গ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পটভূমি:
পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা থাইল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে কমবয়সী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০২৪ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। তবে মাত্র এক বছরের মাথায় রাজনৈতিক বিতর্ক ও আদালতের রায়ে তার শাসনের ইতি ঘটে।
বিশ্লেষণ:
অনুতিনের উত্থান থাই রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে, যেখানে একদিকে রক্ষণশীল জোটের শক্ত অবস্থান স্পষ্ট, অন্যদিকে আগাম নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি নতুন রাজনৈতিক ভারসাম্য তৈরি করতে পারে।