বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া ও চরগোপালপুর ইউনিয়ন দু’টি ভয়াবহ নদীভাঙনের মুখে পড়েছে। মাসকাটা ও কালাবদর নদীর অব্যাহত ভাঙনে ইতোমধ্যেই হাজার হাজার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ও জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।
ভাঙন আতঙ্কে
স্থানীয়রা জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরে নদীর ভাঙন তীব্রতর আকার ধারণ করেছে। রাতের বেলা নদীতীরে বসবাসকারী মানুষজন আতঙ্কে ঘুমাতে পারছেন না। ভাঙনের মুখে সরকারি ড্রেজিং কাজ চলমান থাকলেও সেটি আরও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অপরিকল্পিত খননে ঝুঁকি বাড়ছে” – দাবি স্থানীয়দের
জানানো হয়, দীর্ঘদিন ধরেই মাসকাটা ও কালাবদর নদীর প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন চলছে। উত্তর জালিরচর, মিঠুয়া খেয়াঘাট, সিন্নিরচরসহ একাধিক গ্রামে হাজারো ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় স্থাপনা এবং আবাদি জমি ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক বলেন,
“নদী খননের নামে ভাঙনের মুখে থাকা এলাকায় খনন কাজ চললে চরগোপালপুর ও জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের অস্তিত্বই বিলীন হয়ে যেতে পারে।”
অন্যদিকে, কামরুল ইসলাম বলেন,
“গত ৫ বছর ধরেই এ ভাঙন চলছে। কিন্তু টেকসই প্রতিরোধের উদ্যোগ দেখা যায়নি।”
সরকারি প্রতিনিধি ও স্থানীয় নেতাদের পরিদর্শন
শুক্রবার দুপুরে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ও মেহেন্দিগঞ্জের কৃতি সন্তান অ্যাডভোকেট এম হেলাল উদ্দিন। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সান্ত্বনা দেন তিনি।
তিনি বলেন,
“ভাঙনকবলিত এলাকায় ড্রেজিং করা যুক্তিযুক্ত নয়। আমি বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট উচ্চপর্যায়ের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো।”
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রিয়াজুর রহমান বলেন,
“ভাঙন পরিস্থিতি সম্পর্কে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
দিনব্যাপী কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ
এদিন সকালে অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন আন্দারমানিক ইউনিয়নে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বাহা উদ্দিনের শারীরিক খোঁজখবর নিতে তার বাসায় যান। এরপর কাজিরহাটে নির্মাণাধীন সেতু পরিদর্শন ও প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
পরে কাজিরহাট থানার বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেন। দুপুরে জুমার নামাজ আদায় করেন দাদপুর চরএককরিয়া কুয়েতি মসজিদে। এর পর দক্ষিণ পার নদীর চর শেফালীতে একটি ক্লাবঘরের উদ্বোধন এবং তালুকদারের চর এলাকায় স্থানীয়দের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।