মেহেন্দিগঞ্জের আলীমাবাদ ইউনিয়নের গাগুরিয়া গ্রামের ৩৫ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী যুবক রুবেল হোসেন দুই পা ও দুই হাত ব্যবহার করে ‘উবু’ হয়ে চলাফেরা করেন। জীবন সংগ্রামে বাধ্য হয়ে এমন হাঁটা হলেও তিনি ভিক্ষা করতে রাজি নন।
রুবেল হোসেন ছোট একটি চায়ের দোকান চালিয়ে পরিবারের রুটি-রুজি জোগান দেন। দিনের শেষে ৪-৫শ টাকা বিক্রি থেকে মাত্র ৬০-৭০ টাকা লাভ হয়। দুই সন্তানসহ স্ত্রী চলে যাওয়ার পরও তিনি ভিক্ষা নয়, ব্যবসা করে বাঁচার দৃঢ় সংকল্পে আছেন।
রুবেল হোসেন বলেন, “প্রয়োজনে মরে যাবো, তবুও ভিক্ষা করবো না। আমার সন্তানদের জন্য বেঁচে থাকতে হবে।” বাবা দিদারুল ইসলাম মোল্লা ও মা নিলুফা বেগমও জানিয়েছেন, রুবেল হোসেন অন্যের কাছে হাত পাততে চায় না।
স্থানীয়রা তাঁর সাহসকে অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছেন। সমাজকর্মী জাকির খান বলেন, “রুবেল হোসেন থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। ভিক্ষা একটি ঘৃণ্য কাজ। তার জীবন আমাদের শিক্ষা দেয়।”
ইউপি সদস্য মোঃ ইব্রাহিম খান বলেন, “রুবেল সমাজের চোখ খুলে দিয়েছে। সে ভিক্ষা নয়, ব্যবসা করে বাঁচতে চায়।”
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজুর রহমান জানান, রুবেল হোসেনের জন্য নতুন ঘর নির্মাণ ও দোকানের মালামাল সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হবে।